ঢাকায় নিয়ম মেনে ফুটপাথে হাঁটাটাও একধরনের বিদ্রোহ, চলমান আন্দোলন। আপনি হাঁটলেই হাঁটার পথ ঠিক হয়ে উঠবে ধিরে ধিরে। আমি হাঁটি। প্রতিনিয়ত মেজাজ খারাপ করার মত বিভিন্ন ঘটনা সেখানে ঘটতে থাকে। হাতে সময় থাকলে ক্যাচাল করি, চিৎকার চ্যাঁচামেচি করি, গালি দিই, ফুটপাথ থেকে হাবিজাবি সরাই, জেব্রা ক্রসিং থেকে গাড়ি সরাই, ট্রাফিক পুলিশ ভাইদেরকে বোঝাই (উনাদের ভুলের কারণে অনেক সময় গাড়িগুলো জেব্রা ক্রসিঙের উপর দাঁড়াতে বাধ্য হয়), আর সুযোগ পেলে গাড়িতে লাথি মারি, বনেটে থাবড়া মারি।
আজকে একটা মার্সিডিজে শক্ত লাথি মারতে পেরে আরাম পেয়েছি। বনানী সুপার মার্কেটের দিক থেকে নর্থ এন্ডের দিকে রাস্তা পার হচ্ছি, দেখে শুনে, গ্যাপ বুঝে, সাদা ঝকঝকে পরিষ্কার করে আঁকা জেব্রা ক্রসিঙের ঠিক মাঝখান দিয়ে পার হচ্ছি। আমি রাস্তার মাঝামাঝি তখন এই কুলাঙ্গার মার্সিডিজ সিডান গাড়িটা আমাকে আঁটকে হুস করে সামনে দিয়ে পার হতে নিলো। কঠিন একটা লাথি মারলাম, হারামজাদা, **র ভাই বলে গালিও দিলাম। আমার পেছনেই আরো দুইজন রাস্তা পার হচ্ছিল, তারা সায় জানিয়ে বললো শুয়োরগুলো জেব্রা ক্রসিং দিয়েও রাস্তা পার হতে দিবে না… তাঁদেরকে বললাম, এর পর থেকে এভাবে *লাথি দিবেন, তাহলে কাজ হতে পারে।
*চলন্ত গাড়িতে লাথি মারার কাজটা নিরাপদ না। সাবধানে নিজ দায়িত্বে লাত্থাবেন। করোনাভাইরাস যদ্দিন আছে ঘরেই থাকতে চেষ্টা করবেন। বাইরে বের হলে লাত্থালাত্থি–গালাগালি মাস্ক পরে করবেন