বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচারে মাত্র ৩% মামলায় এ পর্যন্ত অপরাধী সাজা পেয়েছে। এর একটা বড় কারণ অপরাধ প্রমাণের জন্য আলামতের অভাব, সেই সাথে আইনের দুর্বলতা।
যে হারে এই অপরাধ বাড়ছে, তাতে দুঃখজনকভাবে আমাদের আশেপাশেই যে কেউ ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। এমন ভয়াবহ ঘটনার পর আমরা মানসিক বিপর্যয় থেকে অনেক ভুল করতে পারি। ধর্ষিত ব্যক্তিকে সাহায্য করা, এবং বিচার প্রক্রিয়ার সুবিধা হয় এমন প্রাথমিক কাজগুলোর ব্যাপারে আমরা অনেকেই কিছুই জানিনা। যে কারণে অপরাধীরা ধরা পড়েও পার পেয়ে যায়।
ধর্ষণ বন্ধের অন্যতম পন্থা যদি “ন্যায় বিচার” হয়, তাহলে বিচার-সহায়ক প্রাথমিক করণীয় বিষয়গুলো আমাদের সবাইকে জানতে হবে। এখানে প্রতিটি ছবিতে কিছু গুরূত্বপূর্ণ বিস্তারিত তথ্য আছে, পড়ুন। নিজে জানুন, নোট রাখুন, শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।





মামলা দায়ের করুন: নিকটবর্তী থানায় গিয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করুন। যদি পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে তাহলে সরাসরি আদালতে গিয়ে আর্জি পেশ করুন। আইনি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে মীমাংসা করার কোনো চেষ্টা করবেন না। ধর্ষক বা তার প্রতিনিধি কেউ যদি আদালতের বাইরে কোনো সমঝোতা বা মীমাংসা করার চেষ্টা করে তা বেআইনি। যদি অপরাধী নিজে বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে ভয় দেখায় বা দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে স্থানীয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারগুলোতে সহায়তা চান।

[ওপেনসোর্স CC BY-NC 4.0। ছবি/লেখা: Mohammad Tauheed, সহায়তা করেছেন Sarah-Jane Saltmarsh। কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে BRAC Blog থেকে]