মানুষ যে সঠিক বানানে, সঠিক ব্যাকরণে ইংরেজি লিখে–সেইটার কৃতিত্ব আসোলে কম্পিউটারের। কম্পিউটার বানান ও ব্যাকরণের ভুল না ধরলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে বানান ঠিক করে না দিলে ইংরেজি বানানের অবস্থাও বাংলার মতই হত। প্রযুক্তিতে বাংলার দুরবস্থা নিয়ে আর কত লিখবো, বাংলার অবস্থা আগেও যেই গু ছিল, এখনো সেই গুই আছে।
অভ্র/ইউনিকোডের কল্যাণে বাংলা অন্তত লেখা-পড়া যায় ইন্টারনেটে, কিন্তু এখনো অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ঠিকমত বাংলা নাই, বাংলা লেখার সরাসরি ব্যবস্থা নাই, সিস্টেম লেভেলে বাংলার সরাসরি ভুল বানান ও ব্যাকরণ চিহ্নিত করার অথবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এগুলো ঠিক করার কোন ব্যবস্থা নাই। ভালো কোন OCR নাই, কন্ঠ থেকে লেখায় পরিবর্তনের সর্বজনীন কোন ব্যবস্থা নাই। ছবি অথবা ভিডিও সম্পাদনার কোন সফটওয়্যারে বাংলা ঠিকমত কাজ করে না। এগুলোর সর্বজনীনভাবে ব্যবহারযোগ্য লাইব্রেরি তৈরির কোন ক্রমবর্ধমান ওপেনসোর্স আন্দলোন নাই। এত এত কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী, ঘরে ঘরে আইটি বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে কয়েক ঘন্টা বাংলার জন্য খরচ করে না।
আমরা শুধু বাংলা একাডেমি কে গালি দিতে ব্যস্ত। বাংলা শেখার, ব্যবহারের এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের আগ্রহ শুন্য। সরকারের এক দশকের বেশি সময় ধরে এত কোটি কোটি টাকার আইটি বাজেট দিয়ে আসোলে কী হয়, কোথায় যায় সেই টাকা? এখনো বাংলার এমন করুণ অবস্থা কেন থাকবে? কেন সকল সরকারি/বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে (প্রথমিকভাবে) বাংলায় (ডিজাটাল) সেবা প্রদানে বাধ্য করা হয় না? কেন আন্তর্জাতিক অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিস্টেম লেভেলে বাংলা ব্যবহারে সাহায্য এবং বাধ্য করা হয় না?
বাংলাদেশে ব্যবহৃত সকল দেশি, বিদেশি সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি পণ্য ও সেবায় “বাংলা নাই কেন?” সংক্রান্ত শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক বসানো হোক।