বাংলাদেশে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার দুরবস্থার নমুনা

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও a2i একটি কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এর বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। আয়োজকেরা অংশগ্রহণকারীদেরকে তৃতীয় পক্ষের একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ও অ্যাপে ব্যক্তিগত তথ‍্য প্রদানে উৎসাহীত/বাধ্য করছে। তাঁদের পোস্টে এর আগেও মন্তব্য করেছিলাম কোন উত্তর পাইনি। আজকে তাদের এক পোস্টের নিচে এই মন্তব্য লিখে আসলাম:

“দুঃখজনক হচ্ছে, সরকারের সবচেয়ে ইনোভাটিভ বিভাগটি যখন জনগনের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও তথ্য ব্যবহারের নৈতিকতার কথা মাথাতেই রাখে না। a2i এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নামে তথ্য চেয়ে সেটি তৃতীয় পক্ষের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে লগইন করতে বাধ্য করাটা যে অনৈতিক সেটা হয়ত তাঁরা চিন্তাও করেননি!

এতবড় আইটি মন্ত্রণালয় নিজের ওয়েবসাইটে নিজের অ্যাপে কুইজ চালাতে পারতো না? প্রিয়.কম কে কেন আমার তথ্য দিতে হবে? তাদের সাথে আপনাদের গোপনীয়তার চুক্তি আছে? থাকলে সেটি প্রকাশ করুন। পুরো আয়োজনের কোথাও ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার নীতিমালা নাই। এইটা কোন ধরণের দায়ীত্বশীল আচরণ?

ব্যবহারকারীর কাছ থেকে (ভার্চুয়াল) অনুমতি না নিয়ে, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার নীতিমালা, তৃতীয় পক্ষের সাথে গোপনীয়তার চুক্তি ইত‍্যাদি প্রকাশ না করে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা কম্পানির কাছে কোন নাগরীকের নাম, ফোন নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি শেয়ার করা যায় না। আপনারা কোন চিন্তা ভাবনা না করে, কোন কৈফিয়ৎ ও ব্যাখ্যা না দিয়ে বড় বড় অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের নামে ব্যক্তিগত তথ্যের যথেচ্ছ অপব্যবহার করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন প্রতিনীয়ত। দেশের আইটি মন্ত্রণালয় যদি জনগনের প্রাইভেসির ব্যাপারে সচেতন না হয় তাহলে আর কার কাছে যাবো! খুবই হতাশাজনক অবস্থা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.